সমাজের গণ্ডিতে আটকে থাকা নারীরা কীভাবে তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে, সেই আশার প্রতীক হামিদা বানু। কোনোদিন দেশের প্রথম নারী কুস্তিগির হওয়ার স্বপ্ন দেখেননি তিনি। কিন্তু ভাগ্যের খেলায় আজ তিনি ভারতের অন্যতম সফল নারী কুস্তিগির।
হামিদা বানুর গল্প শুরু হয় দিল্লির একটি সাধারণ পরিবারে। তিনি সবসময়ই খেলাধুলায় খুব আগ্রহী ছিলেন। একদিন, তার ভাই তাকে কুস্তি সম্পর্কে বলেন। শুরুতেই হামিদা আগ্রহী হননি। কারণ কুস্তি ছিল শুধুমাত্র ছেলেদের খেলা বলেই তিনি মনে করতেন।
কিন্তু তার ভাই তাকে প্রেরণা দেন এবং হামিদাকে একটি ক্লাবে ভর্তি করে দেন। প্রায় ১২ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম, শৃঙ্খলা এবং দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির পর, হামিদা আজ ভারতের অন্যতম সেরা নারী কুস্তিগির।
নারী হিসাবে কুস্তি করাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল হামিদার জন্য। তিনি সব সময় সমাজের অপমানজনক মন্তব্য এবং কটাক্ষের মুখোমুখি হয়েছেন। এমনকি তার পরিবারের কিছু সদস্যও তাকে সমর্থন করেননি। কিন্তু হামিদা কিছুতেই ভেঙে পড়েননি। তিনি তার লক্ষ্যের দিকে 專注 রেখেছেন এবং মানুষের কথার দিকে কান দেননি。
হামিদার জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আর্থিক সমস্যা। তার পরিবারের অবস্থা খুবই দুর্বল ছিল। তাই তিনি একটি বেসরকারী সংস্থার আর্থিক সাহায্য নিয়েছিলেন।
এই সমস্ত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, হামিদা তার স্বপ্নের পিছনে ছুটে গেছেন। তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন, নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছেন এবং কখনই হাল ছেড়েননি।
হামিদা বানুর অর্জন এবং স্বীকৃতি:হামিদা বানু আজ ভারতের অন্যতম সেরা নারী কুস্তিগির। তিনি তার অসাধারণ কৃতিত্ব এবং শক্তিশালী ইচ্ছাশক্তির জন্য পরিচিত। তিনি নারী ক্ষমতায়নের একটি আইকন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, নারীরা যদি সঠিক প্রেরণা এবং সহযোগ পায়, তবে তারা যে কোনো বাধা কাটিয়ে উঠতে পারে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।
হামিদা বানুর গল্প আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, লিঙ্গ কোনো সীমাবদ্ধতা নয়। যদি আমাদের অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং অটল সংকল্প থাকে, তবে আমরা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।