ভারতের অন্যতম ধনী ও প্রভাবশালী নারীদের মধ্যে অন্যতম সাবিত্রী জিন্দালের জীবন কেবল সাফল্যের গল্প নয়। এটি দৃঢ়তা, অনুপ্রেরণা এবং পরিবারের প্রতি অগাধ ভালবাসার কাহিনী।
সাড়ির সাথে সাফল্যের যাত্রাহিসাব বিষয়ক গ্র্যাজুয়েট সাবিত্রী ১৯৭৬ সালে দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীদের একজন ওপি জিন্দালকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর, তিনি ব্যবসায়িক দুনিয়ার সঙ্গে পরিচিত হন। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই, তিনি নিজের শাড়িতে আরামদায়ক বোধ করতেন।
একদিন, ওপি জিন্দাল সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তিনি একটি ইস্পাতের কারখানা গঠন করবেন। তিনি এই দায়িত্ব সাবিত্রীর হাতে তুলে দিলেন। প্রথমে, সাবিত্রী অনিশ্চিত ছিলেন, তবে তিনি শাড়ি পরেই কাজ শুরু করেছিলেন।
সাড়িতে স্বস্তিসাবিত্রী বলেন, "আমি সবসময় শাড়িতে আরামদায়ক বোধ করেছি। এটি আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে।" তিনি শাড়ি পরে ব্যবসায়িক বৈঠক এবং বিদেশ ভ্রমণে যেতেন। তার বিশ্বাস ছিল যে, পোশাক তার পরিচয় প্রকাশ করে এবং তার ব্যক্তিত্বকে প্রতিফলিত করে।
পরিবারিক মূল্যবোধসাবিত্রীর সাফল্যের পিছনে তার পরিবারিক মূল্যবোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, "পরিবারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।" তিনি তার স্বামী এবং ছেলেদের সাথে একটি শক্তিশালী বন্ধন ভাগ করে নেন।
মহিলাদের ক্ষমতায়নসাবিত্রী মহিলাদের ক্ষমতায়নের দৃঢ় সমর্থক। তিনি বলেন, "মহিলারা সবকিছু করতে সক্ষম।" তিনি মহিলাদের শিক্ষা, ক্যারিয়ার এবং ব্যবসায় উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করেন।
অবসর ও লেখালেখি২০০৫ সালে ওপি জিন্দালের মৃত্যুর পর, সাবিত্রী অবসর গ্রহণ করেন। তিনি তার স্মৃতিচারণ লিখেছেন, যা "সাড়িতে নেতা" নামে প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে, তিনি তার জীবন এবং ব্যবসায়িক যাত্রার একটি অন্তরঙ্গ বর্ণনা দিয়েছেন।
উত্তরাধিকারসাবিত্রী জিন্দাল একটি অনন্য ব্যক্তিত্ব এবং অনুপ্রেরণার উৎস। তার সাফল্যের গল্প শুধুমাত্র ব্যবসায়িক সাফল্যেরই নয়, বরং দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস এবং সত্যনিষ্ঠারও একটি প্রতিফলন। তার উত্তরাধিকার অনেক প্রজন্ম ধরে মহিলাদের অনুপ্রাণিত করবে।