ভোটার আগ্রহ, সংখ্যা দুটোই খারাপ!




আমরা একটা মজাদার জাতি। সবকিছুতেই আমাদের ঢালাও আগ্রহ। ফুটবল, ক্রিকেট, মুভি, টিভি সিরিজ, রাজনীতি, পেজ থ্রি গসিপ... ফেসবুকে কমেন্ট খেলা থামে না কখনও। ঠিক যেন আমরা সবকিছু সম্বন্ধে সবকিছুই জানি। এমন অবস্থায় ভোটে আমাদের আগ্রহ ভালো হওয়ার কথা, তাই না?

কিন্তু হয়তো বিস্ময়করভাবে, ভোটে আমাদের আগ্রহ ও অংশগ্রহণ, দুটোই খারাপ। একটা তথ্য জানেন কি? গত বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন মাত্র ৬১.১% নাগরিক। মানে বাকি ৩৮.৯% ভোটার ভোট দেননি। আর কেন্দ্রের নির্বাচনেও গতবার ভোট দিয়েছিলেন মাত্র ৬৫% মানুষ।

এই সংখ্যাটা খারাপ কেন জানেন? কারণ, ভোট হলো আমাদের গণতন্ত্রের মেরুদণ্ড। ভোটের মাধ্যমেই আমরা বেছে নিই, কে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করবে। কার হাতে আমাদের ভবিষ্যৎটা তুলে দেব, সেটাও আমরা ঠিক করি ভোটের মাধ্যমেই। তাই ভোট না দিলে, আমরা আসলে নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ ঠিক করার সুযোগটা হাতছাড়া করছি।

ভোটে আগ্রহ কম হওয়ার অনেক কারণ আছে। অনেকে বলেন, ভোট দিয়ে কিছু হবে না। অনেকের আবার মনে হয়, রাজনীতি নোংরা খেলা, তারা তার সাথে জড়াতে চান না। আর অনেকেই আবার বিশ্বাস করেন, তাদের একটা ভোটে কিছু হবে না।

যদিও আমার মনে হয়, এসব অজুহাত সবই। গণতন্ত্রে একটা ভোটেরও মূল্য আছে। এটা ঠিক যে, সব সময় আমাদের পছন্দের প্রার্থী জিতবে না। কিন্তু আমরা যদি ভোট না দিই, তাহলে অন্যরা আমাদের জন্য প্রার্থী বেছে দেবে। আর সে ক্ষেত্রে, আমরা পাবো আমাদের পছন্দের প্রার্থী না, পাবো অপছন্দের প্রার্থী।

তাই আগামী নির্বাচনে ভোট দিন। যারা আগ্রহী নন, তাদেরও দিন। কারণ, গণতন্ত্রে আমাদের সকলের ভোটের দায়িত্ব আছে।

কিছু মজাদার তথ্য:

  • ভারতে ১৮ বছরের ওপরে সবাই ভোট দিতে পারেন।
  • ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ভোটার ভিত্তি আছে।
  • ১৯৫১ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন ৪৫.৭% নাগরিক।
  • ২০১৯ সালে ভোট দিয়েছিলেন ৬৭.৪% নাগরিক।

তাই সবাইকে আবেদন, আগামী নির্বাচনে ভোট দিন। নিজের ভবিষ্যৎ নিজেরাই ঠিক করুন।