পরশুরাম জয়ন্তী




বসন্তের শেষে এবং গ্রীষ্মের প্রারম্ভে পালিত হয় পরশুরাম জয়ন্তী। ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের জন্মদিন হিসাবে এই দিনটি উদযাপন করা হয়।

কেন পালন করা হয়?

ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী, রাজা ভৃগুর স্ত্রী রেনুকা স্বামীর আদেশ অমান্য করে জল পান করতে যাওয়ার সময় চিত্ররথ গন্ধর্বকে দেখে মোহিত হন। রাজা অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর পুত্র পরশুরামকে আদেশ দেন স্বীয় মাতাকে হত্যা করতে। পরশুরাম নির্দ্বিধায় মাতার প্রাণনাশ করেন। এই কর্মে তাঁর পিতার অনুমোদন পেয়ে পরশুরাম ক্ষত্রিয় বংশ বিনাশের সংকল্প নেন। পরবর্তীতে তিনি ক্ষত্রিয়দের 21 বার পরাজিত করেন এবং সমুদ্রকে দান করে ভূমি সংগ্রহ করেন। এই ভূমিই পরে কেরল রাজ্যরূপে পরিচিতি লাভ করে।

কীভাবে পালন করা হয়?

পরশুরাম জয়ন্তী উপলক্ষে ভক্তরা মূলত তীর্থস্থানে অবস্থিত পরশুরাম মন্দিরে দর্শন করেন। পূজা-অর্চনা করেন। এছাড়াও গঙ্গাস্নানের প্রচলন রয়েছে এই দিনে।

কেরল এবং মহারাষ্ট্রে এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়। কেরলে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের লোকেরা এই দিনটি পালন করেন বিশেষভাবে। তাঁরা মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেন এবং অন্নদান করেন। মহারাষ্ট্রেও এই দিনটি বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়।

তাত্পর্য

পরশুরাম জয়ন্তী ক্ষত্রিয় ও ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি ও শান্তি स्थापनের প্রতীক। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় অহংকার এবং ক্রোধের পরিণাম কতটা ভয়াবহ হতে পারে। এছাড়াও ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের সম্পর্কের গুরুত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দেয় এই দিনটি।

এই দিনটি পালন করে আমরা পরশুরামের ন্যায় ধর্মের এবং ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার সংকল্প নিতে পারি।