ডুবন্তারে সাঁতার কাটতে হয় কীভাবে ?




আমি সাঁতার জানি না। তবে বৃষ্টির দিনগুলোতে সাঁতার কাটতে বাধ্য হই। দাঁড়িয়ে থাকলেও পানি গা ভিজিয়ে দেয়। তাই বৃষ্টির দিনে সাঁতার কাটার চেষ্টা করি উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে।
পানি দিয়ে গোসল করা হয়। কিন্তু পানিতে ডুবে যাওয়া মৃত্যুর সমতুল্য। এজন্য পানির অস্তিত্বের প্রথম দিন থেকেই মানুষ ভয় পেয়েছে পানিকে। সাঁতার না জানলে পানিতে ডুবে মরার ভয় থেকেই পানি ভয় পাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে প্রকৃতির নিয়ম অতিক্রম করার কোন অধিকার কোন প্রাণীর নেই। সাঁতার না জানলেও পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় খুঁজতে হয় প্রতিটি মানুষকে। আর সেই উপায়ই হলো- সাঁতার কাটা শেখা।
সাঁতার কাটা শেখার পদ্ধতি খুব সহজ। তবে এটি শেখার জন্য প্রয়োজন কিছু সাহস ও অধ্যবসায়। সাঁতার শেখার দুটি পদ্ধতি চালু আছে বর্তমানে।
প্রথম পদ্ধতি অনুযায়ী প্রথমে পানিতে ডুবে যাওয়ার আগে শুয়ে শুয়ে কিছুটা অনুশীলন করতে হবে। শুয়ে শুয়ে হাত ও পা দুলে দুলে সামনের দিকে যেতে শেখার চেষ্টা করতে হবে। সহজভাবে বলা চলে, হাত দুটি দিয়ে পানি ছুঁয়ে ছুঁয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। হাত দুটি দিয়ে পানি ছুঁয়ে ছুঁয়ে এগিয়ে গেলে পানিতে ডুবে যাওয়ার ভয় কমে যাবে। এভাবে কিছুদিন অনুশীলন করার পর নিজের ওপর বিশ্বাস ফিরে আসবে এবং নিজে থেকেই পানিতে ডুবে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
দ্বিতীয় পদ্ধতিটি কিছুটা কঠিন। তবে এই পদ্ধতিতে দ্রুত সাঁতার শেখা যায়। এই পদ্ধতি অনুযায়ী সরাসরি পানিতে ডুবে যাওয়া। পানিতে ডুবে যাওয়ার পর সাঁতার কাটার চেষ্টা করবে। তবে সরাসরি পানিতে ডুবে যেতে ভয় পেলে সাঁতার জানা কাউকে পাশে নিয়ে তার সহযোগিতায় পানিতে ডুবে যাওয়ার চেষ্টা করবে। সম্পূর্ণভাবে নিজের ওপর বিশ্বাস ফিরে না আসা পর্যন্ত এভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এভাবে কিছুদিন অনুশীলন করার পর নিজে থেকেই সাঁতার কাটতে শিখে যাবে।
সাঁতার শেখা সবার জন্য জরুরি একটি বিষয়। মানুষের জীবনে যেকোন সময় সাঁতার কাটতে হতে পারে। সাঁতার জানলে জীবন রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আবার পানিতে ডুবে যাওয়ার ভয়ও কেটে যায়। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত সাঁতার শেখা।