কপাল ফাটিয়ে রেজাল্ট দেখার দিন শেষ! বোর্ডের নতুন নিয়মে এবার আর প্রকাশ পাবেনা নাম্বার কার্ডে গ্রেড




এই বছরের মাধ্যমিক অর্থাৎ দশম শ্রেণির রেজাল্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। করোনা আবহের কারণে শুধুমাত্র একটি মাসের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যক্রমের পরেই পরীক্ষা হয়েছিল। প্রশ্নের মান অতি সহজ ছিল। প্রত্যাশিত ভাবেই ফলাফলও হয়েছে অত্যন্ত উজ্জ্বল। এবারের সাক্ষরতা হার ৮৭.৮৯ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৯৩.৩০। অর্থাৎ প্রায় ৬ শতাংশ কমে গেছে সাক্ষরতা।

যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন তার মধ্যে ৮৫.৭৯ শতাংশই প্রথম বিভাগে। গত বছরে এই হার ছিল ৭৯.২০%। সেই হিসেবে এবছর প্রথম শ্রেণির শতাংশ সাত শতাংশ বেড়েছে। এ বছর দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাসের হার ১২.১০ শতাংশ আর তৃতীয় শ্রেণিতে ২.১০ শতাংশ পাস করেছে। বিজ্ঞান বিভাগে ৮৬.৩৪ শতাংশ পাসের হার, মানবিকে ৮৮.০৩ শতাংশ এবং ব্যবসায় ৮২.৯১ শতাংশ পাসের হার রয়েছে।

তবে এবারের মাধ্যমিক রেজাল্টের বৈশিষ্ট্যটা আলাদা। এই প্রথমবারের জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের মার্কশিটে নাম্বার কার্ডের স্থান দিয়েছে। তবে তাতে গ্রেড বা বিভাগের তথ্য দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র সাবজেক্ট ওপেনিং দিয়েই মার্ক হিসেব করা হয়েছে। এই নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় কারো মন খারাপ হতে পারে আবার কেউ এর জন্য খুশিই হতে পারেন। কারণ অনেকেই নাম্বার বাদে গ্রেড দেখে বিষণ্ন হত। বিশেষ করে যে সকল ছাত্রছাত্রী বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছে তারা।

তবে এখন থেকে কপাল ফাটিয়ে নম্বর দেখার দিন শেষ হল। এবার থেকে শুধুমাত্র বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা দিলে হবে না। গ্রেড দিতে হলে যাচাই করে দেখতে হবে ছাত্রের দক্ষতা। সব মিলিয়ে এবারের মাধ্যমিক রেজাল্ট অনেকটা আলাদা হয়েছে। দেখার বিষয় সামনের বছরগুলিতে এই নতুন নিয়ম কতটা সফল হয়।