এবার আবার বসন্তে এল পেটুক ফুল, সেই ফুলের গন্ধে মাতল পুরো শহর!




বসন্ত এসে গেছে, আর এর সাথে এসেছে পেটুক ফুলের আগমন। ঢাকা শহরের প্রতিটি চত্বরে, বাড়ির ছাদে, বারান্দায় ছড়িয়ে পড়েছে এই রঙিন আর মিষ্টি সুগন্ধি ফুল। পেটুক ফুলের এই আগমন শহরকে করেছে আরো আনন্দময় আর সুন্দর।

  • পেটুক ফুলের ইতিহাস
  • পেটুক ফুলের উৎপত্তি মূলত দক্ষিণ আমেরিকায়। সেখানে আদিবাসীরা এই ফুলকে পবিত্র মনে করতেন এবং ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতেন। পরে 16-শতকে স্প্যানিশ অভিযাত্রীরা এই ফুলকে ইউরোপে নিয়ে যান। সেখান সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এই সুন্দর আর সহজে লালন পালন করা ফুলটি।

  • পেটুক ফুলের প্রকার
  • পেটুক ফুলের অনেক প্রজাতি রয়েছে। সবচেয়ে সাধারণ প্রজাতিটি হচ্ছে Petunia hybrida। এই প্রজাতির ফুলগুলো ট্রাম্পেট-আকৃতির এবং বিভিন্ন রঙের হয়। অন্যান্য প্রজাতির ফুলগুলোর আকৃতি আর রঙে কিছুটা ভিন্নতা আছে।

  • পেটুক ফুলের সৌন্দর্য
  • পেটুক ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ না হয়ে পারি না। এর রঙিন পাপড়ি আর মিষ্টি সুগন্ধি শহরের বাতাসকে করে তোলে প্রাণবন্ত আর সুন্দর। সূর্যের আলোয় পেটুক ফুলের পাপড়ি আরো উজ্জ্বল আর চোখ ধাঁধানো হয়ে ওঠে।

  • পেটুক ফুলের ব্যবহার
  • পেটুক ফুল শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, এটির আরো অনেক ব্যবহার আছে। এই ফুলের নির্যাস ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, পেটুক ফুল প্রাকৃতিক রঞ্জক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিছু প্রজাতির পেটুক ফুল খাবার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

  • পরিবেশের জন্য পেটুক ফুল
  • পেটুক ফুল পরিবেশের জন্যও উপকারী। এই ফুলের ফুল এবং পাতা মৌমাছি আর অন্যান্য পরাগায়কের জন্য খাবারের উৎস। এছাড়াও, পেটুক ফুলের গাছ মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে এবং কীটপতঙ্গ দূর করে।

শেষ কথা

আপনি যদি ফুল ভালোবাসেন, তাহলে আপনার বাড়িতে অবশ্যই পেটুক ফুল রাখতে হবে। এই সহজে লালন পালন করা ফুল আপনার বাড়িকে সুন্দর করবে, বাতাসকে সুগন্ধি করবে, আর পরিবেশের জন্যও উপকারী হবে। তাই, দেরি না করে আজই কয়েকটি পেটুক ফুলের গাছ কিনে আনুন এবং বসন্তের আনন্দ উপভোগ করুন।