'''একে একে মোদীকে অতিক্রম করে যাচ্ছেন আদভানী?'''




পরিচয়:
এল. কে. আদভানি ভারতের একজন সম্মানিত রাজনীতিবিদ এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি অত্যন্ত সম্মানিত হন। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে, আদভানী বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এবং দেশের রাজনৈতিক পরিদৃশ্যকে আকৃতি দিয়েছেন।
আদভানির রাজনৈতিক যাত্রা:
আদভানি 1927 সালে করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আইন অধ্যয়ন করেন এবং পরে রাজস্থান হাইকোর্টে অ্যাডভোকেট হিসাবে অনুশীলন করেন। 1951 সালে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এ যোগ দেন এবং দ্রুতই সংগঠনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা হয়ে ওঠেন।
1980 সালে আদভানি বিজেপির সহ-প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ভারতের উপপ্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এই ভূমিকায়, তিনি সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
আদভানির রাজনৈতিক দর্শন:
আদভানি একজন বর্ষীয় জাতীয়তাবাদী নেতা। তিনি হিন্দুত্বের প্রবক্তা এবং তিনি ভারতকে একটি শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভর রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে চান। তিনি আর্থিক উদারীকরণের সমর্থন করেন এবং ভারতের বাজার অর্থনীতির বিকাশের তিনি একজন দৃঢ় বিশ্বাসী।
আদভানির ঐতিহ্য:
আদভানি বিজেপিকে ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলে পরিণত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি রাম মন্দির আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যা ভারতের রাজনৈতিক পরিদৃশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল।
বর্তমানে আদভানি সক্রিয় রাজনীতিতে নেই। তবে তিনি এখনও বিজেপির একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব এবং দলের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করছেন।
আদভানি এবং মোদী:
নরেন্দ্র মোদীর সাথে আদভানির সম্পর্ক জটিল এবং বৈচিত্র্যময়। মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন আদভানি তাঁর একজন দৃঢ় সমর্থক ছিলেন। তবে, মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে দুজনের সম্পর্ক কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
কিছু পর্যবেক্ষক মনে করেন যে আদভানি মোদীর ক্রমবর্ধমান ক্ষমতায় হিংসা বোধ করছেন। অন্যরা বিশ্বাস করে যে দুই নেতার মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য রয়েছে।
উত্তরাধিকার:
এল. কে. আদভানি ভারতীয় রাজনীতিতে একটি বিশাল অবদান রেখে গেছেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, একজন প্রতিভাধর বক্তা এবং একজন কৌশলী রাজনৈতিক কৌশলী। তাঁর ঐতিহ্য বিজেপি এবং ভারত উভয়েরই উপকার করেছে।
আজও আদভানির চিন্তা এবং দর্শন রাজনৈতিক বিতর্ক এবং আলোচনার বিষয় হিসাবে রয়ে গেছে। ভারতের রাজনৈতিক দৃশ্যে তিনি একটি শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর ঐতিহ্য আগামী বহু বছর ধরে অনুভূত হতে থাকবে।