ঈশ্বর কণা হিগস বোসন




প্রায় বিশ বছর আগে, ব্রিটিশ পদার্থবিদ পিটার হিগস সহ তিনজন বিজ্ঞানী ব্যাখ্যা করেছিলেন যে ব্রহ্মাণ্ডে ভরের উৎস কী।
তারা তত্ত্ব করেছিলেন যে ব্রহ্মাণ্ডে একটি কণা থাকতে হবে যা অন্যান্য কণার সাথে যোগাযোগ করে তাদের ভর দেয়। এই কণাকে হিগস বোসন বলা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীরা এই কণার খোঁজে ছিলেন। অবশেষে ২০১২ সালে সার্ন-এর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে হিগস বোসনের সন্ধান পাওয়া যায়।
এটি ছিল পদার্থবিজ্ঞানে একটি বড় সাফল্য। এটি মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের বোঝাপরিবর্তন করে দিয়েছে।
হিগস বোসন কী করে কাজ করে?
হিগস বোসন একটি মৌলিক কণা। এটি অন্য কোনও কণা দ্বারা গঠিত নয়।
ব্রহ্মাণ্ডে প্রতিটি স্থানে একটি হিগস ক্ষেত্র রয়েছে। হিগস ক্ষেত্রটি একটি শক্তি ক্ষেত্র যা মহাবিশ্বে সব জায়গায় বিদ্যমান।
যখন একটি কণা হিগস ক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে যায়, তখন এটি হিগস বোসন সহযোগে যোগাযোগ করে। এই যোগাযোগের ফলে কণাটি ভর লাভ করে।
যত বেশি একটি কণা হিগস ক্ষেত্রের সাথে যোগাযোগ করে, তত বেশি ভর লাভ করে।
উদাহরণস্বরূপ, ইলেকট্রন এবং প্রোটন উভয়ই মৌলিক কণা। তবে প্রোটন ইলেকট্রনের চেয়ে অনেক বেশি ভারী। এটি কারণ প্রোটন ইলেকট্রনের চেয়ে হিগস ক্ষেত্রের সাথে বেশি যোগাযোগ করে।
হিগস বোসনের গুরুত্ব কী?
হিগস বোসন মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এটি আমাদের ব্যাখ্যা করে যে কীভাবে কণাগুলি ভর লাভ করে। এটি মহাকর্ষের প্রকৃতি বোঝার কীও হতে পারে।
হিগস বোসনের সন্ধান পদার্থবিজ্ঞানে একটি বড় সাফল্য। এটি বিজ্ঞানীদের মহাবিশ্বের ভবিষ্যত সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে।