আমেঠি: শহরের সাথে জড়িয়ে আছে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্মৃতি




ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের সুলতানপুর জেলায় অবস্থিত আমেঠি একটি শহর। এটি লখনউ থেকে প্রায় 130 কিমি দূরে অবস্থিত। আমেঠি শহরটি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।

রাজীব গান্ধীর সাথে আমেঠির যোগসূত্র

রাজীব গান্ধী 1981 সালে আমেঠি থেকে প্রথমবারের মতো লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এরপর তিনি 1984, 1989 এবং 1991 সালেও আমেঠি থেকে নির্বাচিত হন। তিনি এই শহরটিকে নিজের কর্মক্ষেত্র হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন এবং এখানকার উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন।

রাজীব গান্ধীর হত্যার পর, তার স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী 1998 সালে আমেঠি থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। এরপর থেকে তিনি लगातार আমেঠি থেকে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। সোনিয়া গান্ধী বর্তমানে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি।

আমেঠির প্রमुख স্থান

  • রাজীব গান্ধী স্মৃতি ভবন: এটি রাজীব গান্ধীর একটি স্মৃতি-স্তম্ভ, যেখানে তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং স্মৃতি সংরক্ষিত আছে।
  • ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি (NIELIT): এটি ভারত সরকারের একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
  • সায়দরাজা ফোর্ট: এটি আমেঠি শহরের একটি ঐতিহাসিক দুর্গ, যা 18 শতকের শেষের দিকে নির্মিত হয়েছিল।

আমেঠির বিশেষত্ব

আমেঠি শহরটি বিশেষত তার মিষ্টি সন্দেশের জন্য বিখ্যাত। এখানে তৈরি সন্দেশ সারা ভারতবর্ষে সুপরিচিত। এছাড়াও, আমেঠি শহরটি তার হস্তশিল্পের জন্যও বিখ্যাত। এখানকার কারিগররা সুন্দর স্যুজনি এবং রাজাই তৈরি করে থাকেন।

উপসংহার

আমেঠি একটি শহর, যেটি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্মৃতির সাথে গভীরভাবে জড়িত। এটি একটি ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ শহর। আমেঠি শহরটির সুন্দর সন্দেশ এবং হস্তশিল্প সারা ভারতবর্ষে বিখ্যাত।