আপনি কিচু নিয়ম মেনে চললে এইচ পি বোর্ডে রেজাল্ট ভালো হবে




এইচপিবোর্ড পিছিয়ে পড়া। এটা অনেকেই বলে থাকেন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না। এমন কিছু নিয়ম মেনে চললে রেজাল্ট হবেই ভালো। সেগুলো হলো-
* নিয়মিত পড়া: এটা সকলেরই জানা। তবুও অনেকেই এটা মেনে চলেনা। পড়া বিষয়টিকে সারাবছর ধরে ছোট ছোট অংশে ভেঙ্গে ফেললে পড়াটাই হয়ে যায় সহজ। তাই নিয়মিত পড়াটাকে অভ্যাসে পরিণত করুন।
* বোর্ডের সিলেবাসটা দেখে পড়া: শুধু সিলেবাস পড়ে শেষ করা নয়। গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো এবং প্রশ্ন আসার সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে পড়ুন। বিগত কয়েক বছরের প্রশ্নও খুঁটিয়ে দেখে নিন।
* শর্ট নোট তৈরি করা: ক্লাসে পড়ানো প্রত্যেকটা অধ্যায়ের শর্ট নোট তৈরি করুন। এই নোটগুলো ইমপর্টান্ট পয়েন্ট ও ডায়াগ্রামে লেখা হওয়া উচিত। পাঠ্যপুস্তকের বড় বড় অংশগুলো মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন না। কারণ তা সব মনে রাখা সম্ভব নয়।
* রিভিশন: নিয়মিত একবার পড়লেই রেজাল্ট ভালো হয় না। অবশ্যই নোটগুলো রিভাইজ করবেন।
* প্র্যাকটিস: যত বেশি প্র্যাকটিস করবেন রেজাল্ট ততই ভালো হবে। অধ্যায় পড়ার পরেই প্র্যাকটিস করুন।
* সময় মতন ঘুমানো: সারারাত জেগে পড়ার চেষ্টা করবেন না। সময় মত ঘুমানো খুবই জরুরি।
* খাওয়া দাওয়ার খেয়াল রাখা: বাড়িতে থাকার সময় খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারটায় অনেকেই এলোমেলো হয়ে যান। আপনিও যদি তাদের অন্যতম হন তাহলে আজই এই অভ্যাসটা বদলাতে শুরু করুন। অসময়ে কম খান এবং জল বেশি পান করুন।
* নিজেকে স্ট্রেস ফ্রি রাখা: পড়ালেকার সময় স্ট্রেস খুব স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত স্ট্রেস যদি নেয়া হয় তাহলে শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়। তাই পড়ালেকার পাশাপাশি মনকে শান্ত রাখার জন্য মেডিটেশন বা এক্সারসাইজ করুন।
* সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা: সোশ্যাল মিডিয়ায় যতো কম সময় কাটাবেন শরীর ও মন ততোই ভালো থাকবে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া আপনার মনোযোগ নষ্ট করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
* বই থেকে যত দূরে থাকা যায়: একটানা অনেক ঘন্টা বই পড়ার তুলনায় একটু একটু করে বই পড়া অনেক বেশি ইফেক্টিভ। কারণ একটানা বই পড়লে একটা সময়ের পর মন চঞ্চল হয়ে যায়। তাই একটু একটু করে পড়ার চেষ্টা করুন।
* অভিভাবকের সাপোর্ট নেয়া: অভিভাবকেরা সন্তানকে সবসময় সাপোর্ট করতে চান। তাঁদের সাপোর্টের সদ্ব্যবহার করুন। পড়ালেকার ব্যাপারে তাঁদের কাছ থেকে সহায়তা নিন।
একটা জিনিস সবসময় মাথায় রাখবেন। বোর্ড পরীক্ষা কোন ছোটখাটো পরীক্ষা নয়। কিন্তু এটা জীবনের শেষ পরীক্ষাও নয়। তাই এই পরীক্ষাকে সবচেয়ে বড়টা ভাববেন না। যত ভয় পাবেন ততো খারাপ হবে। রিল্যাক্স থাকুন এবং নিয়ম মেনে পড়া চালিয়ে যান। ঠিকই আপনার রেজাল্ট ভালো হবে।
আরেকটা জিনিস মাথায় রাখবেন। বোর্ড পরীক্ষায় শুধু রেজাল্ট ভালো করাটাই লক্ষ্য নয়। বরং আপনি যা পড়ছেন তার বাস্তব কাজে লাগানোটাও খুব জরুরি। কারণ আমাদের জীবনে বাস্তব জ্ঞানটা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। তাই বোর্ড পরীক্ষার জন্য পড়ার সময় বাস্তব জ্ঞানের দিকটাও মাথায় রাখুন।
বোর্ড পরীক্ষা জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তবে এটিকে সবচেয়ে বড়বাড়টা ভাববেন না। নিয়ম মেনে চলুন এবং রিল্যাক্স থাকুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা হলো, পড়ালেকার পাশাপাশি নিজের যত্ন নেয়া।