আপনি কি জানেন ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার অজানা গল্প?





ফুটবল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও সেরা প্রতিযোগী ক্লাব বার্সেলোনা। লা লিগায় তাদের রয়েছে অতুলনীয় অর্জন। ফিফা ক্লাব র‍্যাংকিংয়ে প্রায় সময়ই তারা শীর্ষ স্থানে থাকে।


তবে এই সফল ক্লাবটির পেছনে রয়েছে অজানা কিছু গল্প, যা অনেক ফুটবল ভক্তই জানেন না। আজ আমরা আপনাদের বলবো সেসব গল্পই।


প্রতিষ্ঠার গল্প:


1899 সালের 29 নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের জোয়ান গ্যাম্পার বার্সেলোনা ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গ্যাম্পার ছিলেন ফুটবল খেলাটির অনুরাগী ছিলেন। তিনি বার্সেলোনার একটি ম্যাচ দেখে এত আকর্ষিত হয়েছিলেন যে, তিনিই ফুটবল ক্লাবটি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন।


ক্লাবের নামকরণ:


ক্লাবের নামকরণ সম্পর্কেও রয়েছে একটি মজার গল্প। গ্যাম্পার যখন ক্লাবটি গঠন করার কথা ভাবছিলেন, তখন তিনি তার বন্ধুদের কাছে বিভিন্ন নামের প্রস্তাব চেয়েছিলেন। সবশেষে তিনি সবার সঙ্গে লুডো খেললেন। যে লুডো বোর্ডে সবার আগে পৌঁছাবে, সেই নামই হবে ক্লাবের নাম। শেষে বার্সেলোনা নামেই জয় হয়।


প্রথম স্টেডিয়াম:


বার্সেলোনার প্রথম স্টেডিয়ামটি ছিল ক্যাম্প দি লা ইন্ডাস্ট্রিয়া। এটি ছিল একটি ক্রিকেট মাঠ, যেখানে বার্সেলোনা তাদের হোম ম্যাচ খেলতো। স্টেডিয়ামটি মাত্র 6,000 দর্শক ধারণ করতে পারতো।


রঙিন জার্সি:


বার্সেলোনার রঙিন জার্সিটিও একটি আকর্ষণীয় ঘটনা। ক্লাবটি প্রথমে সাদা-নীল ডোরাকাটা জার্সি পরতো। কিন্তু একবার একজন ক্লাব সদস্য একটি রেগাটা দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি দেখেন, রেগাটায় অংশগ্রহণকারী একটি নৌকা লাল-নীল ডোরাকাটা রঙের জার্সি পরে রয়েছে। সেই জার্সি এত পছন্দ হয় ক্লাব সদস্যটির যে, তিনি সেটাই বার্সেলোনার জার্সির রঙ হিসেবে প্রস্তাব দেন।


ক্যাম্প ন্যু:


বার্সেলোনার বর্তমান স্টেডিয়াম ক্যাম্প ন্যু বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়ামগুলোর একটি। এই স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা প্রায় 1,00,000। স্টেডিয়ামে দুটি যাদুঘরও রয়েছে, যেখানে বার্সেলোনার ইতিহাস, ক্লাবের ট্রফি এবং স্মৃতিচিহ্ন প্রদর্শিত হয়।


মেসি ম্যাজিক:


বার্সেলোনার ইতিহাসে সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। এই আর্জেন্টাইন তারকা বার্সেলোনাকে অসংখ্য ট্রফি জেতাতে সহায়তা করেছেন। মেসি বার্সেলোনার হয়ে 6টি ব্যালন ডি'অর, 4টি চ্যাম্পিয়নস লিগ, 10টি লা লিগা ট্রফি সহ অসংখ্য পুরস্কার জিতেছেন।


উদযাপন স্টাইল:


বার্সেলোনার একটি বিখ্যাত উদযাপন স্টাইল হল 'মেসি-আলভেস'। এই উদযাপনটিতে মেসি তার গোল করার পর আলভেসের কাছে ছুটে যান এবং মেসি আলভেসকে জড়িয়ে ধরে মাটিতে শুয়ে পড়েন। এই উদযাপনটি বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের খুব পছন্দের একটি উদযাপন।


সামাজিক কর্ম:


ফুটবল মাঠের বাইরেও বার্সেলোনা ক্লাবটি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। ক্লাবটির একটি ফাউন্ডেশন রয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী শিশুদের সহায়তা করে। ফাউন্ডেশনটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং ক্রীড়ার মাধ্যমে শিশুদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য কাজ করে।


ভবিষ্যতের পরিকল্পনা:


বার্সেলোনা ক্লাবটির ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও অনেক বড়। ক্লাবটি তাদের স্টেডিয়াম ক্যাম্প ন্যুকে আরও আধুনিক করার পরিকল্পনা করছে। এছাড়াও, ক্লাবটি তাদের যুব একাডেমিতে বিনিয়োগ করছে, যাতে তারা ভবিষ্যতে আরও বেশি প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরি করতে পারে।