প্রত্যেক ক্রিকেট উৎসাহীর জন্য, ভারত এবং প্রধানমন্ত্রীর একাদশের মধ্যে ম্যাচ একটি বিশেষ ঘটনা। এটি একটি ম্যাচ যা কেবল প্রতিযোগিতার চেয়ে অনেক বেশি; এটি ভারতের ক্রিকেট দলের জয় এবং অদম্যতা উপলব্ধি করার সুযোগ।
যেদিন ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, বৃষ্টি আমাদের ছক্কা হানার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট দলের দৃঢ় সংকল্পকে বৃষ্টিও রুখতে পারেনি। তারা মাঠে নামার মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করেছিল, এবং যখন তারা তা করেছিল, তখন তাদের জয়ের পিপাসা স্পষ্ট ছিল।
ম্যাচের প্রথম বলেই, রোহিত শর্মা একটি দুর্দান্ত চার মারেন। এটি শুধুমাত্র একটি শট ছিল না; এটি এমন একটি বিবৃতি ছিল যা সমগ্র দলকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা তাদের প্রতিভা দেখিয়ে অবিরাম রান তোলা শুরু করলেন। শুভমান গিল এবং চেতেশ্বর পূজারা দারুণ ইনিংস খেলেন, যা তাদের দলকে একটি দৃঢ় ভিত্তি দিয়েছিল।
এরপরে, হার্দিক পান্ডিয়া এবং রবীন্দ্র জাদেজার মারমুখী ব্যাটিং দলকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। তারা বড় বড় শট মারেন এবং ম্যাচকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলেন। যখন ভারতীয় ইনিংস শেষ হয়, তখন তারা দুর্দান্ত 350 রান তুলে ফেলে।
350 রানের বিশাল লক্ষ্যের পিছনে প্রধানমন্ত্রীর একাদশের ব্যাটসম্যানরা মাঠে নামেন। তবে ভারতীয় বোলাররা খুব শক্ত ছিলেন। তাঁরা প্রতিটি বলে চাপ সৃষ্টি করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর একাদশকে রান তোলায় নিরুৎসাহিত করেছেন।
ভুবনেশ্বর কুমার এবং মোহাম্মদ শামী চারটি করে উইকেট নিয়েছিলেন, যখন উমেশ যাদব দুটি উইকেট নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর একাদশের দল ১৭০ রানেই থেমে যায়, যার ফলে ভারত ১৮০ রানে জয়ী হয়।
এটি একটি দারুণ জয় ছিল যা ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রতিভা, দৃঢ় সংকল্প এবং অদম্যতার সাক্ষ্য দেয়। এটি একটি ম্যাচ ছিল যা দেশের প্রতিটি ক্রিকেট উৎসাহীকে গর্বিত করেছিল।
এটি কেবল একটি জয়ের গল্প নয়; এটি ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসার গল্পও। এটি একটি দলের গল্প যারা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং জয়ী হয়েছে। এটি একটি দলের গল্প যা ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দেয়।