সুনীল ছত্রী: স্বপ্ন দেখা ছাড়া কি আর জীবন!




কীভাবে একটা লড়াকু ভাবনাকে রূপান্তরিত করা যায় একটা স্বপ্নে, স্বপ্নকে কিভাবে ধারণ করা যায় লক্ষ্যের মধ্যে এবং লক্ষ্যকে কিভাবে অর্জন করা যায় অধ্যবসায় দিয়ে, তা খুব কম লোকই জানেন। আর তাদের মধ্যে অন্যতম একজন সুনীল ছত্রী।
আমাদের দেশে ফুটবলের অন্যতম ক্ষীণ দিনে সুনীল ছত্রী যখন জাতীয় দলের জার্সি পরে মাঠে নেমেছিলেন, তখন খুব অল্প লোকই জানতেন যে, একদিন তিনি দেশের সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে পরিগণিত হবেন। তিনিই একমাত্র ভারতীয় ফুটবলার যিনি ১০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক গোল করেছেন।
সুনীল ছত্রীর জীবনটা খুব ছোট থেকেই সংগ্রামের। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন ফুটবলার হওয়ার জন্য। দিল্লির তাজিক নগরে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন YFA, যা আজ ভারতের সবচেয়ে স্বীকৃত ফুটবল আকাদেমিগুলোর মধ্যে একটি।
সুনীল ছত্রী এমন একজন মানুষ, যিনি নিজের স্বপ্নের পেছনে অবিচল থেকেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, যদি আপনার যথেষ্ট সাহস এবং অধ্যবসায় থাকে, তাহলে আপনি যেকোনো স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন।
সুনীল ছত্রী কেবল ভারতীয় ফুটবলেরই আইকন নন, তিনি সমগ্র দেশেরই আইকন। তিনি স্বপ্ন দেখার সাহস এবং স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজেকে উৎসর্গের প্রতীক। তিনি আমাদের সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন, "স্বপ্ন দেখা ছাড়া কি আর জীবন!"
সুনীল ছত্রীর জীবন থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। আমরা শিখতে পারি সাহস, নিষ্ঠা এবং অধ্যবসায়ের গুরুত্ব। আমরা শিখতে পারি যে, যদি আমরা নিজের স্বপ্নের পেছনে অবিচল থাকি, তাহলে আমরা যেকোনো কিছু অর্জন করতে পারি।
সুনীল ছত্রী আমাদের আশাবাদ দেন। তিনি আমাদের দেখান যে, স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব। তিনি আমাদের প্রেরণা দেন স্বপ্ন দেখতে এবং সেগুলো অর্জনের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করতে।
তাই চলুন স্বপ্ন দেখি। চলুন সাহস করি। চলুন নিজেদের উৎসর্গ করি। কারণ স্বপ্ন দেখা ছাড়া কি আর জীবন!