সিরিয়ালে অমিতাভের চরিত্রের নাম ছিল মৃত্যুঞ্জয়। আর শ্রীনিবাসের চরিত্রের নাম ছিল কিশোর। এই কিশোরই কিন্তু মৃত্যুঞ্জয়ের ছায়াসঙ্গী। মৃত্যুঞ্জয় যে যায় কিশোর তার পিছনে যায়। দুজনের দারুণ বন্ধন। দুজনের দারুণ বোঝাপড়া। অনস্ক্রিন দুজনের দারুণ দ্বন্দ্ব মানুষের ভালই পছন্দ হয়েছিল।
কিন্তু এই কিশোরই কি না হঠাৎ করেই অমিতাভের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন! একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শ্রীনিবাস। সেখানে বলেছিলেন, 'সফরে অমিতাভ বচ্চন আমায় অপমান করতেন। যখন অভিনয় করতাম তখন হাসতেন। আমার দিকে তাকিয়ে অপরিসীম ঘৃণা নিয়ে তাকাতেন।'
এমনটা কেন করতেন অমিতাভ বচ্চন? শ্রীনিবাসের দাবি, 'কারণ আমি দক্ষিণ ভারতীয় ছিলাম। উনি দক্ষিণ ভারতীয়দের পছন্দ করতেন না। আমাকে তিনি ওনার চাকর বলে মনে করতেন। আমার সঙ্গে তিনি সব সময় খারাপ ব্যবহার করতেন। তাও আমি কিছু বলতাম না। কারণ অমিতাভ বচ্চন তো! সবার ওপর যার প্রভাব, আমি কে তাঁর সঙ্গে বিতর্ক করতে যাব? তিনি আমাকে অপমান করলেও আমি তা মেনে নিয়েই যেতাম। কারণ, আমি ভাল অভিনেতা। সেই জন্যই তো আমায় 'সফরে' নেওয়া হয়েছিল। তেলেগু ছবির অভিনেতা হয়ে হিন্দি ধারাবাহিকে আমায় কাজ দেওয়া হয়েছিল। তাই খারাপ ব্যবহার সত্ত্বেও আমি সব সহ্য করেও নিয়েছিলাম।'
শ্রীনিবাস প্রসাদের এই অভিযোগ কতটা সত্যি, তা অজানা। তবে 'সফর' সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ের সময় সেটে কিছু দ্বন্দ্ব ছিল, তা অস্বীকার করা যায় না।
যে সিরিয়াল, অমিতাভের ক্যারিয়ারকে ফের নতুন ভাবে চালু করেছিল। সেই সিরিয়ালের সেটে কিছু উত্তেজনা থাকারই কথা। অমিতাভ বচ্চনের জীবনীকার ইয়াসের উসমানের বইতেও' সফরের' সেটে অমিতাভের রাগান্বিত হওয়ার কথা লেখা হয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও লেখা হয়েছে যে, সফরের শ্যুটিং শেষ হওয়ার পর অমিতাভ নিজেই সবাইকে একসঙ্গে দুপুর খানার জন্য ডেকেছিলেন। সেই সময় সবার সঙ্গে শ্রীনিবাসকেও অমিতাভের বসানোর কথা লেখা হয়েছে সেই বইতে।
অমিতাভ বচ্চন আর শ্রীনিবাসের বন্ধুত্ব যে সত্যিই ভেঙে গেছে তার কোনও প্রমাণ নেই। তবে সেটে দুজনের মধ্যে কিছু দ্বন্দ্ব ছিল তাও অস্বীকার করা যায় না।