এইচ ডি দেবে গৌড়া : একজন মহান রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর গল্প




এইচ ডি দেবে গৌড়া হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জনতা দল (সেক্যুলার) দলের সদস্য হিসাবে সংসদ সদস্যও ছিলেন। রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগে, তিনি একজন কৃষক ও সামাজিক কর্মী ছিলেন।

প্রাথমিক জীবন

দেবে গৌড়া ১৯৩৩ সালের ১৮ মে কর্ণাটকের হাসানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একটি কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং খুবই সরল পরিবেশে বড় হয়েছেন। তিনি মাত্র ১০ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে দেন এবং কৃষিকাজে তার বাবাকে সাহায্য করতে শুরু করেন।

রাজনৈতিক কর্মজীবন

দেবে গৌড়ার রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৫৩ সালে, যখন তিনি হোসকোটে তালুক বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে কর্ণাটক বিধানসভায় নির্বাচিত হন এবং রাজ্য সরকারে বিভিন্ন মন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৯ সালে, তিনি জনতা দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন এবং ১৯৯৬ সালে তিনি পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে, জনতা দল জাতীয় ফ্রন্টের অংশ হিসাবে লোকসভায় সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছিল। দেবে গৌড়া প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন এবং তিনি ১৯৯৭ সালে ভারতের একাদশ প্রধানমন্ত্রী হন।

প্রধানমন্ত্রীত্ব কাল

দেবে গৌড়ার প্রধানমন্ত্রীত্ব কাল অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ ছিল কাভেরি নদীর জল বণ্টন নিয়ে তামিলনাড়ুর সাথে চলমান বিরোধ। তিনি এই বিষয়টির একটি সুস্থ সমাধান করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

তার প্রধানমন্ত্রীত্ব কালে ভারতের অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। তিনি অনেক অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেছিলেন, যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি দ্রুত হয়েছিল।

রাজনৈতিক উত্তরাধিকার

দেবে গৌড়া ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি তার রাজনৈতিক কর্মজীবন চালিয়ে যান এবং ২০০৪ সালে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।

দেবে গৌড়া ভারতীয় রাজনীতিতে একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসাবে রয়েছেন। তিনি সারাজীবন সততা ও সরলতার সাথে কাজ করেছেন। তিনি দেশের প্রতি তার অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

ব্যক্তিগত জীবন

দেবে গৌড়া চেন্নাম্মা দেবে গৌড়ার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই পুত্র ও দুই কন্যা রয়েছে। তাদের বড় ছেলে এইচ ডি রেবন্না জনতা দল (সেক্যুলার) দলের সদস্য এবং কর্ণাটক বিধানসভার সদস্য।

দেবে গৌড়া একজন সাদাসিধা জীবন যাপন করেন। তিনি রাজনীতির বাইরে কৃষিকাজ করতে পছন্দ করেন। তিনি একজন অত্যন্ত ধার্মিক ব্যক্তি এবং তিনি হিন্দু ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে দৃঢ় বিশ্বাসী।

উত্তরাধিকার

দেবে গৌড়া ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসাবে রয়েছেন। वह एक किसान पुत्र थे जो देश के सर्वोच्च पद तक पहुँचे। उन्होंने अपनी सादगी और ईमानदारी के लिए जाना जाता है। वह अपने राज्य और देश के लिए अपने अथक प्रयासों के लिए याद किए जाएँगे।