ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়সি: চুক্তি ভাঙ্গার ইতিহাসও আছে আবার পশ্চিমকেও চ্যালেঞ্জ করার সাহসও আছে




ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়সি একজন জটিল এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন কট্টরপন্থী রাজনীতিবিদ, যার চুক্তি ভাঙ্গার ইতিহাস রয়েছে, কিন্তু তিনি সেই ব্যক্তিও, যার পশ্চিমকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস রয়েছে।

পটভূমি

রায়সি ১৯৪৯ সালে ম্যাশহাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ধর্মতাত্ত্বিক সদর পরিবার থেকে এসেছিলেন এবং তাঁর বাল্যকাল ধর্মীয় অধ্যয়ন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্বারা চিহ্নিত হয়েছিল। তিনি ১৯৭০-এর দশকে ইসলামী বিপ্লবের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন এবং ১৯৮০-এর দশকে রাজনৈতিক অঙ্গনে উঠে আসেন।

রাজনৈতিক কর্মজীবন

রায়সি ১৯৮৯ সালে টেহরানের প্রধান প্রসিকিউটর নিযুক্ত হন এবং এই ভূমিকায় তিনি রাজনৈতিক বিরোধীদের নিষ্ঠুর দমনের জন্য দায়ী ছিলেন। ১৯৯৪ সালে তাকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়, এবং তিনি 2004 সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।
রায়সি ২০১৯ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি একটি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব যিনি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পরিচিত। তিনি পরমাণু চুক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন এবং ইরানকে আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন।

প্যারামাউন্ট লীডারের সাথে সম্পর্ক

রায়সি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি খামেনেয়ীর বিশ্বস্ত হিসেবে দেখা যায় এবং তিনি আয়াতুল্লাহর সমর্থকদের কাছে জনপ্রিয়।

পশ্চিমের সাথে সম্পর্ক

রায়সি পশ্চিমের তীব্র সমালোচক। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েলকে ইরানের শত্রু বলে মনে করেন এবং তিনি তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তিনি ইরানের পরমাণু কর্মসূচীকে সীমিত করার জন্য 2015 সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তিরও সমালোচক ছিলেন।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারা সমালোচনা

রায়সি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারা তার মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। তিনি ১৯৮৮ সালে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দীদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।

ঐতিহ্য

রায়সির ইতিহাস মিশ্র। তিনি একজন কট্টরপন্থী রাজনীতিবিদ, যার চুক্তি ভাঙ্গার ইতিহাস রয়েছে, কিন্তু তিনি সেই ব্যক্তিও, যার পশ্চিমকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস রয়েছে। তিনি একজন জটিল এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব, এবং তিনি আগামী বছরগুলিতে ইরানের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।