রাম জন্মভূমির বিষয়টি এমন একটি বিষয় যেটি কয়েক শতাব্দী ধরে ভারতের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও রাজনীতিকে আন্দোলন করেছে। এটি একটি অত্যন্ত বিতর্কিত এবং সংবেদনশীল বিষয়, যা অনেক আবেগ এবং দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে।
১৫২৮ সালে, মুঘল সম্রাট বাবর আয়োধ্যাতে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন, যা বাবরি মসজিদ নামে পরিচিত। কিংবদন্তি অনুযায়ী, এই মসজিদটি রাম জন্মভূমির স্থানে নির্মিত হয়েছিল, যেখানে হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে ভগবান রাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
শতাব্দী ধরে, হিন্দুরা এই মসজিদের উপর নিজেদের দাবি করে আসছে, এটিকে অবৈধ ও অবিচারিক বলে দাবি করে। তাদের দাবির ভিত্তি হল যে, এই স্থানটি রাম জন্মভূমি, এবং মসজিদটি হিন্দু মন্দিরকে ধ্বংস করে নির্মিত হয়েছিল।
1992 সালে, হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ঘটনাটি দাঙ্গায় রূপ নেয়, যার ফলে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
মসজিদ ধ্বংসের পর, রাম জন্মভূমির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিস্তৃত আইনী লড়াই শুরু হয়। 2019 সালে, সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেয় এবং মুসলমানদের বিকল্প জায়গায় মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
রাম মন্দিরের নির্মাণ শুরু হয়েছে এবং এটি 2024 সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। মন্দিরটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার একটি প্রতীক হিসাবে দাঁড়াবে, এবং এটি হিন্দুদের জন্য তীর্থস্থান হিসাবে কাজ করবে।
রাম জন্মভূমি বিষয়টি জটিল এবং বিতর্কিত। এটি অতীতের ঘটনা, বর্তমান রাজনীতি এবং ভবিষ্যতের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি মিশ্রণ। এটি এমন একটি বিষয় যা ভারতের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং রাজনীতিতে বহু বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে থাকবে।
মন্দির নির্মাণের কাজ কেমন চলছে?
মন্দিরটি কখন প্রস্তুত হবে?
মন্দিরটি 2024 সালের মধ্যে প্রস্তুত হওয়ার কথা রয়েছে।
মন্দিরটি কেমন হবে?
মন্দিরটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?